সভ্যতার সংকটের স্বরূপ ও রবীন্দ্রনাথের আশাবাদ

‘সভ্যতার সংকট’ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রজন্মোৎসব উপলক্ষ্যে পুস্তিকা আকারে বিতরণ করা হয়েছিল। এই আশি-বর্ষ্পূর্তি উৎসবই রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় সর্বশেষ জন্মোৎসব। নববর্ষের সায়াহ্নলগ্নে উত্তরায়ণ প্রাঙ্গণে সমবেত আশ্রমবাসী ও অতিথি অভ্যাগতদের সমক্ষে পঠিত এই অভিভাষণই কবিজীবনের সর্বশেষ অভিভাষণ। কবির উপস্থিতিতে ক্ষিতিমোহন সেন সেদিন এই প্রবন্ধ পাঠ করেছিলেন। সত্যদ্রষ্টা কবির  বাস্তব জীবন-অভিজ্ঞতার শেষ স্বাক্ষর বহন করছে এই প্রবন্ধটি।

  • আশি বছর বয়স অতিক্রান্ত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ সমগ্র মানবজাতির জীবনে দেখেছেন সভ্যতার সংকট। মানব জাতির ইতিহাসে এই সভ্যতার সংকটে তিনি স্বভাবতই বিচলিত ও ক্রুদ্ধ। এই প্রবন্ধ যখন লিখছেন তিনি, তখন শুরু হয়ে গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যে ইউরোপের জ্ঞান ও বিজ্ঞান একদিন সমস্ত মানব জাতিকে পথ দেখাবে বলে ভাবা হয়েছিল, সেই ইউরোপ আজ সমস্ত পৃথিবীর বুকে ডেকে এনেছে ধ্বংসের তাণ্ডব। নিজেদের ক্ষুদ্র সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নখ-দন্ত বের করে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে। ভারতবর্ষ সরাসরি এই বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে না পড়লেও, ভারতবর্ষের উপরে যে এই সাম্রাজ্যবাদী লালসার ছায়া সবচেয়ে বেশি মাত্রায় পড়েছে তা যুগদ্রষ্টা কবির পক্ষে বোঝা অসম্ভব হয়নি। দীর্ঘ দুশো বছর ধরে ভারতবর্ষ ইংরেজদের দ্বারা পদানত।
  • অথচ ইংরেজের এই অত্যাচারী সাম্রাজ্যবাদী পরিচয়টুকুই সব ছিল না একসময়। ভারতবর্ষ তার দীর্ঘকালীন মধ্যযুগীয় অবশেষ ত্যাগ করে ইংরেজদের জ্ঞান-বিজ্ঞানের স্পর্শেই নতুন করে জেগে ওঠার মন্ত্র খুঁজে পেয়েছিল। ইংরেজের মাধ্যমেই ভারতবাসী ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল। তাদের সামনে খুলে গিয়েছিল এক নতুন আকাশ। সেই আকাশে কোথাও ছিল না সাম্রাজ্যবাদী শাসকের কালো কঠিন মুখ। রবীন্দ্রনাথ নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করেছেন এই প্রসঙ্গে। অল্প বয়সে তিনি যখন ইংল্যান্ড গিয়েছিলেন, সেখানের পার্লামেন্টে তিনি শুনেছিলেন জন ব্রাইটের বক্তৃতা। সেই বক্তব্যের মধ্যে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন চিরকালীন ইংরেজের বাণী। সেই বাণী মানবতার। সেই বাণী উদারতার। সেই বাণীর মধ্যে কোথাও জাতিগত সংকীর্ণতা ছিল না। পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে নিজের আত্মীয় হিসাবে গ্রহণ করার ঔদার্য ছিল সেই বাণীর মধ্যে। আর শুধু জ্ঞান বিজ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্রই যে শুধু ইংরেজরা আবিষ্কার করেছিল তা নয়, সাহিত্যের ক্ষেত্রেও তারা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন উদার মানবতার বাণী। শেক্সপীয়রের নাটক, বায়রন, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কীটস, শেলির কাব্য, মেকলের প্রবন্ধ –সবকিছুর মধ্য থেকেই ভারতবাসী তাদের প্রাণের রস সন্ধান করেছিল।

তাই রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য, মানবমৈত্রীর বিশুদ্ধ পরিচয় দেখেছি ইংরেজ চরিত্রে। তাই আন্তরিক শ্রদ্ধা নিয়ে ইংরেজকে হৃদয়ের উচ্চাসনে বসিয়েছিলেম। ক্রমে ইংরেজ এ দেশের শাসক হয়ে বসেছে। বণিকের মানদণ্ড পরিণত হয়েছে শাসকের রাজদণ্ডে। তা সত্ত্বেও ইংরেজের প্রতি শ্রধার অনুভবটি অনেকের মনেই জাগ্রত ছিল। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, তখন আমরা স্বজাতির স্বাধীনতার সাধনা আরম্ভ করেছিলুম, কিন্তু অন্তরে অন্তরে ছিল ইংরেজ জাতির ঔদার্যের প্রতি বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস এতো গভীর ছিল যে একসময় আমাদের সাধকেরা স্থির করেছিলেন যে, এই বিজিত জাতির স্বাধীনতার পথ বিজয়ী জাতির দাক্ষিণ্যের দ্বারাই প্রশস্ত হবে’।

  • কিন্তু ইংরেজ সম্পর্কে এই শ্রদ্ধার বোধ বর্তমান পরিস্থিতিতে আর বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেই মনে করেছেন রবীন্দ্রনাথ। বিগত কয়েক দশক জুড়ে ইংরেজরা পৃথিবীর উপর যে অমানবিক তান্ডবলীলা চালিয়েছে তাতে তাদের অতীত গৌরব ধূলিসাৎ হয়েছে। জ্ঞানের অগ্রদূত হয়ে যারা ভারতবর্ষে এসেছিলেন, অচিরেই তাদের মধ্যে দেখা দিল বর্বরতার চূড়ান্ত প্রকাশ। মানবতার দূত হিসাবে যাদের খ্যাতি ছিল বিশ্বজোড়া, তারাই বিশ্বজুড়ে মত্ত হল মানবতা লঙ্ঘনের খেলায়।‘কালান্তর’ প্রবন্ধেও রবীন্দ্রনাথ ইংরেজের এই চরিত্র-পরিবর্তন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, ‘ক্রমে ক্রমে দেখা গেল য়ুরোপের বাইরে অনাত্মীয় মণ্ডলে য়ুরোপীয় সভ্যতার মশালটি আলো দেখাবার জন্য নয়, আগুন লাগাবার জন্যে’।  ভারতবর্ষ সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশকে উপনিবেশ বানিয়ে তারা সাম্রাজ্যবাদী শোষকের নির্লজ্জ লালসার পরিচয় তুলে ধরল। রবীন্দ্রনাথ আক্ষেপ করে লিখেছেন, প্রত্যহ দেখতে পেলুম, সভ্যতাকে যারা চরিত্র-উৎস থেকে উৎসারিতরূপে স্বীকার করেছে, রিপুর প্রবর্তনায় তারা তাকে কি অনায়াসে লঙ্ঘন করতে পারে। দীর্ঘ প্রায় দুশো বছরের ঔপনিবেশিক শাসনে ভারতবর্ষ ক্রমশ হীনবল হয়েছে। জনগনের উপর নেমে এসেছে একের পর এক দুর্বিষহ অত্যাচার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা পুরোমাত্রায় নষ্ট হয়েছে। সমগ্র ভারতবর্ষ ইংরেজের তথাকথিত সভ্য শাসনের জগদ্দল পাথর বুকে নিয়ে তলিয়ে পড়ে রইল নিরুপায় নিশ্চলতার মধ্যে। ‘সেদিন ভারতবর্ষের জনসাধারণের যে নিদারুণ দারিদ্র আমার সম্মুখে উদ্ঘাটিত হল, তা হৃদয়বিদারক। অন্ন বস্ত্র পানীয় শিক্ষা আরোগ্য প্রভৃতি মানুষের শরীরমনের পক্ষে যা কিছু অত্যাবশ্যক তার এমন নিরতিশয় অভাব বোধহয় পৃথিবীর আধুনিক শাসনচালিত কোনোদেশেই ঘটেনি’। সভ্যতার বড়াই করে যে দেশ ও জাতি তাদের কাছ থেকে সভ্যনামধারী মানব আদর্শের এতোবড় নিষ্ঠুর বিকৃত রূপ দেখে রবীন্দ্রনাথ স্তব্ধ হয়েছেন।
  • শুধু ভারতবর্ষ নয়, বিশ্ব-রাজনীতি পর্যালোচনায় রবীন্দ্রনাথ তুলে এনেছেন বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সভ্যতাগর্বী ইংরেজ কি নিষ্ঠুর তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। চীনের অহিফেন যুদ্ধ (১৮৪০-৪২) তেমনই এক আগ্রাসন। চীনে ইউরোপীয় দেশগুলির অবাধ বাণিজ্য নিষিদ্ধ ছিল। এ সময় চীনে ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসাবে আফিমের ব্যাপক চাহিদা ছিল। ইংরেজ বণিকেরা চোরাপথে চীনে প্রচুর পরিমাণে আফিম সরবরাহ করতে থাকে। এবং কালক্রমে তা চীনাদের নেশায় পরিণত হয়। আফিমের কুপ্রভাব থেকে দেশবাসীকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ক্যান্টন বন্দরে ২০ হাজার পেটি আফিম বাজেয়াপ্ত করে (১৮৩৯) ধ্বংস করে চীনা সরকার। ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ সরকার এই ঘটনাকে উপলক্ষ্য করে চীনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে। চীন তা অগ্রাহ্য করলে শুরু হয় প্রথম অহিফেন যুদ্ধ। শক্তিশালী ব্রিটিশরা সহজেই চীনকে পরাজিত করে। স্পেন থেকে শুরু করে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে একই ভাবে ইংরেজেরা নিজেদের মানবতাবিরোধী কর্মধারাকে বজায় রেখেছে শক্তির মদমত্ততায়। অন্য দেশের সম্পদ লুঠ করে এনে নিজেরা হয়েছে সমৃদ্ধতর। ইংরেজকে অনুসরণ করে ফরাসী, ইতালি, জার্মানি প্রভৃতি ইউরোপীয় জাতিরাও নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা অনুযায়ী মানুষকে লুণ্ঠনের খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের সেই লোভের কারণে ঘটে গেছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই যুদ্ধের অবক্ষয় দেখে মনে হয়েছিল এমন কালো সময় হয়তো আর পৃথিবীর বুকে কোনওদিন আসবে না। কিন্তু তা থেকেও ইংরেজ সহ ইউরোপের দেশগুলি কোনও শিক্ষা নেয় নি। শুরু হয়ে গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। রবীন্দ্রনাথ ধিক্কার দিয়ে লিখেছেন, এমন সময় দেখা গেল, সমস্ত যুরোপে বর্বরতা কিরকম নখদন্ত বিকাশ করে বিভীষিকা বিস্তার করতে উদ্যত। এই মানবপীড়নের মহামারী পাশ্চাত্য সভ্যতার মজ্জার ভিতর থেকে জাগ্রত হয়ে উঠে আজ মানবাত্মার অপমানে দিগন্ত থেকে দিগন্ত পর্যন্ত বাতাস কলুষিত করে দিয়েছে  
  • কিন্তু, প্রবন্ধের বেশির ভাগ অংশ জুড়েই রবীন্দ্রনাথ সভ্যতার এই সংকটকে তুলে ধরলেও, ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের বিধ্বস্ত রূপ প্রকাশ করলেও, নিজের গভীর জীবনপ্রজ্ঞায় তিনি যেন অনুভব করেছেন এই ধ্বংসই মানব সভ্যতার শেষ কথা নয়। আজকের রক্তলেখা বাস্তব যে ইতিহাসের শিশুপাঠ্য কাহিনিতে স্থান পাবে এ তার স্থির বিশ্বাস। নিজের মানসচক্ষে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন, ইংরেজের আসন্ন পতনের ভবিষ্যৎ। ইতিহাসের গভীর প্রজ্ঞায় তিনি উচ্চারণ করেছেন, ভাগ্যচক্রের পরিবর্তনের দ্বারা একদিন না একদিন ইংরেজকে এই ভারতসাম্রাজ্য ত্যাগ করে যেতে হবে ইতিহাস সাক্ষী, বড় বড় অত্যাচারী শাসকেরা হাজার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত মানুষের শুভবুদ্ধিরই জয় ঘটেছে। তেমনি ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনই শেষ কথা হয়ে থাকবে না। এ কথা ঠিক ইংরেজের অত্যাচারে ভারতবর্ষের অবস্থা আজ খুবই করুণ। কিন্তু ঔপনিষদিক চেতনায় উদবুদ্ধ হয়ে তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, একদিন পাশ্চাত্যের এই লালসার সামনে প্রাচ্যের ত্যাগের বাণীই প্রাচীর হয়ে দেখা দেবে। এই বিপর্যয়ের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য আবির্ভূত হবেন প্রাচ্যের মহামানব। বুদ্ধ, কনফুসিয়াসের মতোই যথার্থ প্রজ্ঞার পথ উদ্ভাসিত হবে পৃথিবীর সামনে। ‘আজ আশা করে আছি, পরিত্রাণ কর্তার জন্মদিন আসছে আমাদের এই দারিদ্রলাঞ্ছিত কুটীরের মধ্যে; অপেক্ষা করে থাকব, সভ্যতার দৈববাণী সে নিয়ে আসবে, মানুষের চরম আশ্বাসের কথা মানুষকে এসে শোনাবে এই পূর্বদিগন্ত থেকেই’। আর তাই এই প্রবন্ধের শেষ বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথের চরম আশাবাদই ধ্বনিত হয়। মানব সভ্যতা বহু উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে আজ এখানে এসে পৌঁচেছে। হয়তো বর্তমান খুব কঠিন, কিন্তু যখনই মানব সভ্যতা এই রকম কালবেলায় উপনীত হয়েছে, ততবারই উদিত হয়েছে নতুন ভোর। তাই রবীন্দ্রনাথ আশা রেখেছেন মানুষের শুভ চৈতন্যের প্রতি। ‘কিন্তু মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব’। প্রবলপ্রতাপশালীর ক্ষমতা ও মদমত্ততা ও অহঙ্কার পরিণতিতে যে বিনষ্ট হবেই এই তাঁর গভীর বিশ্বাস। উপনিষদের বাণী উদ্ধৃত করে তাই তিনি বলেন, অধর্মেণৈধতে তাবৎ ততো ভদ্রাণি পশ্যতি… অর্থাৎ, অধর্মের দ্বারা মানুষ বাড়িয়া ওঠে, অধর্ম হইতে সে আপন কল্যাণ দেখে, অধর্মের দ্বারা সে শত্রুদিগকেও জয় করে। কিন্তু পরিশেষে একেবারে মূল হইতে বিনাশ পায় 

     

Mechanical Emotion

It is surprising that how this virus outbreak focuses us to maintain social distance by isolating us within a very limited periphery, but it also brought out a lot of subliminal favors that we always had, hidden deep within ourselves.  According to Charles Robert Darwin, The most intellectual or strongest species may not be able to survive a changing environment but the one who can adjust itself to the changing environment has the chance of survival. While humans are the most intelligent and somewhat stronger than most of the species, it adjusted the environment in its favor instead of changing and adapting itself according to the environment. Not only is the physical supremacy that is required for humanity to survive in the changing environment but an emotionally favorable atmosphere is also required for healthy sustainability. When most of the animals remain rooted within the basic need to satisfy their livelihood, humans created psychologically and self-fulfillment needs to satisfy its multiple levels of requirements.

Being a social animal, it is difficult for us to not to go out and socialize, though the social media platforms are allowing us to be connected virtually, the lack of physical social interaction is driving out many of us crazy and Imprudent. It is funny that despite our multi-level needs, we are always bound to our basic needs like other animals with lower intellect. The moment the supplies get restricted, the basic animal instincts get stronger to satisfy the psychological needs to sustain our mortal from. What makes us different from other low intellect creatures is that our craving for the kinds of stuff that are part of our need but not required for our survival. A recent example can be laid on to support this claim when the government decided to allow the liquor shops to be reopened almost after five weeks of absolute closedown and we can witness the rush of the people to get their favorite booze. This might prove the theory that despite the risk of contamination and death, humans are capable of overcoming their fear to chase out pleasure beyond their survival requirements.

Technology makes the emotions mechanical

Once the telephone came into existence, people preferred this medium more than sending letters to their dearest one and we complained about how this invention of technology is taking a crucial part away from our lives. Radio took away some part of our recreational slots while television took most of it and now social media made most us glued to it most of the time. We keep on complaining about these technologies which might be stopping us to get along with people and involve in direct communication but we should not forget about the moments they were created to make our lives easier. Better technology does not always ensure better emotional expressions but rather helps us to create a replica of our actual emotions and “digital emojis” and “widely accepted acronyms” are living examples of the technology born emotional responses.

It’s even quite interesting how we respond to emotions in social media. There is a popular culture of using Acronyms while engaging in a conversation in social media like AMA (Ask Me Anything), NBD (No Big Deal), BRB (Be Right Back), which became quite popular among the people that they have started using them in other forms of communications as well. I can recall an incident of one my colleagues used LOL whenever she comes across to anything funny. There are numerous instances when I found the students have used these popular acronyms in writings, which made me wonder about which path the communication evolving into.

Many scholars would present sufficient evidence on which they would argue on the degradation of linguistic usage due to these popular acronyms, I still believe the popularity lies in our inherent nature of using our intellect to evolve something that will take lesser time and effort to materialize the communication. While it is debatable whether we should or should not use such abbreviated form while engaging in communication beyond social media which is considered to be a formal form of communication, many people (especially students) would love using these popular abbreviations as it saves them times and effort to spell the entire word.

Another example can be the “emojis” after it originated in Japanese mobile phones in 1997, which became another symbol of depicting emotions. It’s easier, funnier, and largely acceptable. I wouldn’t deny the usage of emojis while I could express my feeling in words on many occasions but as I said the users can certainly put forward many excuses in his defend while using emoji instead of a full sentence or at least a word for it. The increasing popularity of emojis ignited the requirement among many developers to create and send your customized emoji across different platforms through applications. Where many of them allow creating customized emojis to represent different emotional responses of the sender.

The root success factor of these inventions lies in the likelihood and acceptance among the people and over time people get comfortable in using these while engaged in communication. Most likely, in future, we would welcome such innovations in our lives to make it as easier and enjoyable as possible while considering them as an integral part of our daily communications but when it comes to the quality of the content for communication, we would always find the existence of this dilemma that will keep on reminding us of our moral duties to our existence.

Is Earth breathing again?

            The ongoing Novel Coronavirus (COVID-19) pandemic has adversely impacted the globe in various ways. Some of the impact is irreversible while some of it could be turned around. The present crisis could be even termed as a watershed moment for humanity. However, this is not humanity’s first bout with a dangerous and infective disease; we have faced pandemics before (Plague of Athens, Plague of Justinian, The Black Death, Influenza Pandemic of 1510, The First Cholera Pandemic, The Spanish Flu, The Asian Flu, HIV/AIDS Pandemic, 2002-04 SARS Outbreak, 2009 “Swine” Flu Pandemic, Ebola Virus Pandemic, et al)[1]. What set the present scenario apart from previous ones, are two things: a. High infectivity of the Novel Coronavirus strain[2] and b. The world has never been more connected, countries have never been more interdependent. Needless to say, COVID-19 has facilitated a disastrous impact on the global economy, along with politics, society, religion and financial structures around the world[3].

            Setting aside the aforesaid effects of COVID-19 on humanity, the result of lockdowns, quarantines and travel bans[4] initiated by and across all nations for halting the spread of the disease is an intriguing one, as far as the environment is concerned.

            For decades, scientists all over the world have been harping on about global warming and mankind’s carbon footprint[5]. The environmental crisis had undoubtedly reached its zenith in the last decade[6]. Environmental activists have continued their protests for better handling of the environmental crisis. All that drastically changed with the advent of COVID-19 at the beginning of 2020.

            A major feature of enforcing a complete lockdown everywhere is the fact that no one is travelling (for work or leisure) anymore; people are working from their homes thanks to technology, particularly the World Wide Web. Plying of automobiles has been brought to an almost complete standstill (same with aeroplanes, waterways, and railways), resulting in a massive drop in carbon emissions globally; most particularly in China and India. It is estimated that there has been a drop in global carbon emissions by almost 25 percent till now[7]. This bears good news for numerous cities around the world. An example may be provided in this respect, of New Delhi[8]. Not only transportation, but the global shutdown of industries

[1] “en.wikipedia.org/wiki/List_of_epidemics” – Accessed on 06.05.2020, 13:03 hours.

[2]https://www.who.int/news-room/commentaries/detail/modes-of-transmission-of-virus-causing-covid-19-implications-for-ipc-precaution-recommendations” – Accessed on 06.05.2020, 13:05 hours.

[3]https://moderndiplomacy.eu/2020/04/22/impact-of-covid-19-on-global-economy-structure/” – Accessed on 06.05.2020, 13:07 hours.

[4]https://www.bbc.com/news/world-52103747” 

[5]https://www.nationalgeographic.com/science/2019/12/the-decade-we-finally-woke-up-to-climate-change/”, see also, “https://www.wri.org/blog/2019/12/6-ways-climate-changed-over-past-decade

[6]https://www.bbc.com/news/science-environment-51111176” 

[7]https://www.carbonbrief.org/analysis-coronavirus-has-temporarily-reduced-chinas-co2-emissions-by-a-quarter” 

[8]https://www.theguardian.com/environment/2020/apr/11/positively-alpine-disbelief-air-pollution-falls-lockdown-coronavirus” .

has also benefitted the planet[1], pollution and greenhouse gas emissions around the world having been drastically reduced.  

Actions Speak Louder Than Words:

“How dare you!” was a compelling war cry famously uttered by 17 years old environmental activist Greta Thunberg at the 2019 United Nations Climate Action Summit[2] held at the United Nations Headquarters in New York City. Her speech consisted of a well-articulated assertion that humanity has always and continues to prefer economic growth to a sustainable environment. Indeed, humankind has reaped large benefits by exploiting the environment ever since the Industrial Revolution. At times, such actions have been excruciatingly selfish, with dangerous repercussions on our world’s fragile ecosystem. Be it the erosion of green cover from Earth’s surface, be it dumping plastic all over the oceans or depletion of minerals, degradation has been the order of the day when it comes to Earth’s treasures, which we consider our resources. Quite a lot has been pledged, but very little has been actually done to combat the adverse effects on the environment precipitated by human actions, resulting in unwanted consequences[3].

COVID-19 has severely affected our civilization, both on biological terms as well as economically. However, it has taught us one vital lesson; that we cannot take planet Earth and her ecosystem for granted. Our actions concerning the environment throughout the ages have longstanding consequences that may be felt by generation after generation.

Let us, for a moment, delve deeper into the origins of COVID-19 to better understand the context of the principle referred to in the sub-heading above. It is believed that COVID-19 originated in the “Huanan Seafood Wholesale Market”, located at Wuhan, China[4]. From a study published in Science Direct[5], it is revealed that wild animals such as bats, rabbits, pangolins, et cetera, have been sold for food or traditional Chinese medicine at these wet markets and most, if not all, these animals were being kept and then cooked in grossly unhygienic conditions leading to cross-contamination, that ultimately resulted in transmission of the virus to humans. Wildlife trade is regulated and managed by authority of the United Nations’ Convention on International Trade in Endangered Species of Wild Fauna and Flora (CITES)[6]. However, illegal wildlife trade has been rampant[7] everywhere, mostly emanating from the incessant demand for use as trophies, souvenirs, manufacture of goods and traditional medicine. The wet markets in

[9]https://economictimes.indiatimes.com/news/company/corporate-trends/manufacturing-grinds-to-a-halt-in-key-sectors/articleshow/74765038.cms?from=mdr”, See also,

https://www.bloomberg.com/news/articles/2020-03-19/biggest-factory-shutdown-since-ww-ii-sweeps-through-u-s-europe” 

[10]https://www.theguardian.com/commentisfree/2019/sep/23/world-leaders-generation-climate-breakdown-greta-thunberg” 

[11]https://www.oecd.org/environment/climate-change-consequences-of-inaction.htm” 

[12]https://www.nationalgeographic.com/animals/2020/04/coronavirus-linked-to-chinese-wet-markets/” 

[13]https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S2090123220300540” 

[14]https://www.cites.org/eng/disc/what.php” 

[15]https://www.worldwildlife.org/threats/illegal-wildlife-trade” – 

China involved in wildlife trade were banned during the initial outbreak of SARS in 2002-03, but were allowed to open again thereafter. However, it is speculated that the present ban may be of a permanent nature[1].

If anything, the impact of our actions on the biodiversity of the planet is well established in light of the ongoing pandemic.

The Way Forward (Conclusion):

            The future of human civilization as we know it in the 21st century has never been more uncertain. Till date, people have been infected worldwide and more than two million people have died from COVID-19[2]. Economically, the situation looks grim. As per reports, oil prices in the United States have fallen to negative, resulting from lack of demand[3]. Environmentally, COVID-19 has exposed a lot of the adverse effects humanity has had on the ecosystem since the beginning of the Industrial Age. It comes as no surprise that a month and a half’s inactivity on the industrial and automotive front has so effectively healed our planet. The present circumstances have left no doubt that the future lies not in fossil energy, but renewable, alternative sources of energy. Investments in renewable sources of energy have been proposed by quite a few legislations throughout the world. 

            In ancient Greek religion, Gaia was considered a primordial deity who was planet Earth personified. Among all the devastation COVID-19 has caused globally, quite curiously, it has aided Gaia in breathing again.   

Co-contributors: Arnab Sengupta and Souvik Dutta, Lawyers , High Court at Calcutta        

[16]https://www.newscientist.com/article/2239559-coronavirus-china-wildlife-trade-ban-could-become-law-within-months/” 

[17]https://covid19.who.int/” 

[18]https://www.bbc.com/news/business-52350082

Banana in Engineering!

It’s been just more than10 years, on 2009 UN announced that this year is the year of Natural Fiber because a million of people got employment in Europe in Natural Fiber industries. From that year, many researchers and scientists of Asian Countries like Japan, India, and Philippines etc devoted their skills to develop fibers from natural resources. Consequently, with the continuous research, Natural Fiber has become so popular in Engineering Materials sector; now, it is being used to make aircrafts, structures, containers, vehicle parts etc. The main USP of natural fiber is its weight, its way lighter compared to the other materials having same volume and it does not comprise to stress and stiffness which has made it to be accepted by the engineers dealing with larger structure with lesser weight. This very reason makes it a boon in aerospace industry.

Banana stem which is considered as a complete waste is used as a source. From this, one of the strongest fibers of the World is developed. Banana fiber aka Musa Fiber is used to make tea bags, sanitary napkins, Japanese Yen notes and car tyres etc around the globe. Banana was domesticated around 8000 BCE in the Kuk valley of New Guinea. Evidences are there that banana fiber was used in 13th century for making ropes in South East Asia and the South Pacific, Nepal and Japan. Now, the commercial value of the fiber is being increased over the years.

It has given an immense area to the researcher for carrying out the research works on composite materials as synthetic can be substituted by the banana fiber from in composite wall production.

 

Why Banana Fiber is so popular???

  • Soft, Supple and Shimmer
  • Bio degradable
  • Natural Sorbent : Fabric from theses fibers lets you breathe well and will keep you cool on hot days.
  • Resistance
  • Durability
  • Insulation
  • Tensile Strength

Physical and mechanical properties of banana fiber were examined and it is being used in the industries according to the properties. The fiber has got higher aspect ratio compared to other fibers and exhibits better tensile strength.

If we talk about the future of the Banana Fiber, is very promising as it is lighter, superior in properties and composition and cheaper compared to the other natural fibers. Here is the comparison with other natural fibers like jute, paper, hemp and sisal.

These properties have made this fiber useful for using in various fields of engineering like in high performance applications such as sports materials, aircraft industries and shipping industries etc.
The Department of Chemical Engineering, Concentration Textile Engineering, Universitas Islam Indonesia (UII) has been doing research on durability of banana fibers, it has been investigated that the durability can stay up to 3 months of storage, if the period is extended, the durability decreases significantly. Thermogravimetric analysis (TGA) is done on the fiber to analyze the heat stability or thermal degradation. The figure describes the TGA analysis and it is shown that it can work under a handsome range of temperature and it is used as insulator as the thermal conductivity of the fiber is 0.0253 W/m2K.

Commercial value in 2020!!!
A significant number of Banana Fiber extraction plants are running successfully in various parts of South India., some plants are exporting products as well. Apart from the uses in heavy industries, the banana fiber has become very popular in boutique sectors also. Banana fiber is used for weaving attractive pieces of clothes, rugs, sarees etc. Besides, it is also being used to produce a variety of items such as hats, photo frames, trinket boxes, gift bags, picture frames, hand bags, belts, baskets and sandals etc. Dresses woven out of natural fibers are in great demand inside and outside India. Even in India, it is said that the total cost for opening a plant is only 1.6 lacs where the return on invest is 98 % in this business. According to the market researchers the annual production of Banana Fiber has become 100,000 tones around the globe in 2019. Here is a representation of production across the world in 2019. It shows the potential of India in adopting the natural gold as business.

“Why join the Navy if you can be a pirate?” – Steve Jobs

Satellite Technology: in response to COVID-19 outbreak

The outbreak of coronavirus disease (COVID-19) has created a global health crisis that has had a deep impact on the way we perceive our world and our everyday lives. Do we have a novel idea of how satellite technology can be used to the fight the battle against COVID-19? 

As the world endures an unprecedented crisis, satellites are providing a different types of communications, navigation, broadcast, remote imaging and other vital services.

Satellite communication: Satellite communications including internet and broadband services are helping keep people in remote and underserved regions connected with their teachers, doctors, employers, customers, friends and families. Satellite communication is helping families and friends to maintain communication using social-media applications during self-isolation. The positive impact of this is having on our general well-being cannot be underestimated, particularly for those who live alone or the elderly.

Healthcare: Today, satellite technology is increasingly being used to advance healthcare by providing high-bandwidth, multi-media patient data to aid shared clinical decision-making and early diagnosis.

Satellite navigation is being used to monitor the movements of carriers of COVID-19 who have not been hospitalized, as well as geo-referencing patient data to be shared between doctors and patients. Some countries are using geo-location to inform people if they have been in close contact with a carrier and to quarantine themselves.

Several countries have already begun looking into, or have rolled out, mobile phone-based efforts to track the spread of coronavirus among their citizenry.

  • In India, Aarogya Setu, a mobile app developed by the government of India an informative and updated dashboard collecting data through GPS. Aarogya Setu app gives relevant information for every geographic area of the country to help citizens identify their risk of contracting Covid-19. This app is designed to keep a user informed in case she/he has crossed paths with someone who has tested positive. Bluetooth & location-generated social graph is used for tracking the Covid infected patients.
  • In China, apps developed by Alibaba and Tencent give people a color code based on their health condition and travel history. This code determines whether a person gains entry into a mall or a subway station, or can travel between cities. Actually this code decided by a big data-driven algorithm.
  • National Health Information Center (NHIC) developed an official mobile app in Saudi Arabia. They developed its own Corona interactive map application that allows users to track all coronavirus cases with statistics and charts.
  • According to the international news organization Reuters, Europe’stelecom companies are sharing location data with health authorities in Italy, Germany and Austria, to check whether people are remaining at home. The data is aggregated and anonymous, mapping concentrations instead of individuals to respect Europe’s privacy laws.
  • In South Korea, the government created a map of cellphone data provided by telecom and credit card companies. The map was made public so everyone could track whether they’d been exposed, according to The Verge (American technology news).
  • According to reports, Iranused the COVID-19 epidemic to gather private data from its citizens “to boost Tehran’s surveillance capabilities,” reports Vice. The country sent a link to download the AC19 app with government endorsement, touting it as a way to determine whether users have the virus, but usage required sending back location data.
  • In Taiwan, a mobile phone-based geo-fence uses location-tracking to ensure people who are quarantined stay in their homes, reports the New York Times. If the patient leaves their home address or turns off their smartphone, the police will visit within 15 minutes.

Some paramedics carry equipment that use satellite communication to stream live vital signs such as ECG, temperature, respiration rate, and blood pressure to doctors who are due to take over treatment. The link allows two-way real-time consultation, allowing the ambulance team to make rapid clinical and transport decisions.

News and Entertainment: Broadcast communications satellites deliver entertainment but they also provide homebound people as well as government health care officials with critically important live pandemic news updates from around the world.

Global Positioning Satellites – GPS satellites are  providing vital navigation services to the thousands of truck drivers working to help maintain country’s critical supply chains for food, manufacturing and medical supplies.

GPS timing services also help power country’s millions of cellular phones and remote electronic financial services.

Remote sensing and imaging satellites – Remote sensing and imaging satellites are providing health care officials and other users with comparison imagery – vital tools in helping monitor the effectiveness of “stay at home” and other social distancing initiatives.  Earth observation satellites also provide a safe and remote method to collect global onsite information without the need to leave home or an office to go onsite.

Collectively, satellites are providing critical services to governments, businesses and consumers.  The United States Department of Homeland Security (DHS) named satellite operations as an essential part of functioning critical infrastructure that is imperative during the response to the COVID-19 emergency services.

Skip to content