শাঁওলি মিত্র বাংলা থিয়েটার ও সিনেমা জগতের এক প্রখ্যাত অভিনেত্রী। তিনি ঋত্বিক ঘটকের যুক্তি তক্কো আর গপ্পো চলচ্চিত্রে বঙ্গবালা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর পারিবারিক পরিচয় হল তিনি প্রখ্যাত নাট্যকার শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা ,যাদের সুবাদে অনেক ছোটবেলা থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে তার জীবনযাপন।
নানান সাক্ষাতকার থেকে জানা যায় যে ছেলেবেলায় তিনি খুব ভুগতেন তাই পড়াশোনার বিশেষ চাপ তাকে দেওয়া হতনা। ২০১১ সালে তিনি রবীন্দ্র সার্ধশত জন্মবর্ষ উদ্যাপন সমিতির চেয়ারপার্সন হিসাবে তাকে নির্বাচন করা হয়। ছোটবেলা থেকেই নাট্যচর্চা করেছেন শাঁওলি মিত্র। বাড়িতেই থিয়েটারের মহড়া চলতো। কখনও কখনও বহুরূপী’র শোয়ের সময় উইংসের পাশ থেকে নাটক দেখতেন শাঁওলী।
কমলা গার্লস হাইস্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় বহুরূপী নাট্যদলের প্রযোজনায় ‘ছেঁড়া তার’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। তৃপ্তি মিত্রের পরিচালনায় ‘কিংবদন্তী’, হিমাংশু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় বাদল সরকারের লেখা ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ নাটকে মিসেস ইথার্নির চরিত্রে কিংবা পরে শম্ভু মিত্রের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’ নাটকে সুরঙ্গমার চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ছোটবেলায় অভিনয় করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা অবলম্বনে তৈরি ‘ডাকঘর’ নাটকে। অমলের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসাও পান। পরবর্তীতে বাংলা নাট্য জগতের বিশিষ্ট নাম হয়ে ওঠেন তিনি, নিজের দলও গড়ে তোলেন।তাঁর তৈরি নাট্যদলের নাম ‘পঞ্চম বৈদিক’।
- ১৯৮৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মঞ্চে এল নাথবতী অনাথবৎ। একক নাটক। মহাভারতের এক-একটি চরিত্র, এক-এক রকম স্বরক্ষেপণ, ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গভঙ্গি , এক-এক রকম পদক্ষেপে মূর্ত হয়ে উঠতে লাগলেন শাঁওলী মিত্র। তাঁর মঞ্চে আয়ত্ত দক্ষতা সমগ্র দর্শক মহলকে বিমুগ্ধ করে দিয়েছিল, যেন সসাগরা পৃথিবীটাকে অযুত প্রশ্নেবিদ্ধ করছেন। এই নাটকে আমরা এক নতুন নাট্য গড়ন শুধু নয়,নাট্যভাবনার সম্ভাবনা চিহ্নিত করতে পারি। এক প্রতাবাদী নারীর সন্ধান পেলাম আমরা। তাই তিনি মঞ্চে কখনো যুধিষ্ঠির কখনো বা দ্রৌপদী হয়ে স্বাভাবিক স্বতস্বূর্ততায় অভিনয় করে গেছেন। বিষয়ের সঙ্গে আঙ্গিকের এই পরীক্ষা সমগ্র বাংলা নাট্য দর্শককে চমকে দিয়েছে। বাঁ হাতের তর্জনী ছুড়ে বলেন, ‘যুধিষ্ঠির’ বললেন এই কথা। ধম্মের পুত্তুর যুধিষ্ঠির তখন আর কিছু বিচার করলেন না! গোটা সমাজের কাছে মহাভারতের এক নবরূপ অঙ্কন করেছেন। রাজসভায় যখন ভীষ্ম-দ্রোণ-কৃপ-বিদুররা চুপ করে বসে আছেন তখন কথক শাঁওলী যেন খেপে উঠলেন,
- ‘ বাবুমশায়রা, এইরকম একটা কাল আসে পৃথিবীতে, যখন এইসব গুণীজনরা সব চুপ করে থাকে, আর যে অত্যাচারিত হয়, সে হয়েই যায়, হয়েই যায়, হয়েই যায়!’
- সেই নির্মাণ দেখতে দেখতে পাঠক নিজের অজান্তেই পারি দেয় নাট্যকারের ভাবনার জগতে। এই নাট্যের মাধ্যমে শাঁওলী এক নতুন পথের সন্ধানে যাত্রা শুরু করলেন। এই অনুসন্ধান তার নিজেরি অন্তরে। দেশীয় যে নাট্য রীতির পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন তার বাবা নাট্যকার শম্ভু মিত্র দেখেছিলেন,তার মূল সুরটি যেন স্পর্শ করেছিল তার কন্যার অন্তরে। তাই যে সন্ধান তার বাবা , চাঁদ বণিক মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে পথের অনুসন্ধানে পথ হারিয়েছিলেন,তাকেই যেন পুনরুদ্ধরে মগ্ন হয়ে উঠলেন নাট্যকার। যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই পথ চলা। সেই জার্নিতে কখনও তাঁর সত্তার ভিতরে নৈঃশব্দ হাঁটু মুড়ে বসে থাকে, কখনও এক অপার বিচ্ছিন্নতা। নিজেরই মুদ্রাদোষে কখনও হয়ে যান তিনি একা। তবু যাত্রা বন্ধ হয় নি।একার যে কী প্রচণ্ড বল হতে পারে, তা বোঝা যাচ্ছিল দিনে দিনে। নাটককে আযূধ করে তিনি এগোতে থাকলেন। ১৯৯০ নিয়ে এলেন কথা অমৃতসমান। আধার সেই মহাভারত। তৈরি হচ্ছে প্রতিমহাভারত। একক অভিনয়।
- এই প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য হল বিষয়ের চেয়েও নাট্য আঙ্গিক নিয়ে তিনি যে নতুন পথের সন্ধান দিলেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা। নাট্য সমালোচক সেলিম আল দীন এই নাট্য দেখে বর্ণনাত্মক অভিনয় রীতি বোঝাতে বলেছেন
- “ বাংলা কথকতা ও পাঁচালি ধারায় সৃষ্ট অভিনয় রীতি। এতে অভিনেতা নাট্যস্থিত বর্ণনা সংলাপের রীতিতে উপস্থাপনা করে। এ সম্পর্কে প্রদত্ত যুক্তি এই যে, বিশেষ চরিত্রের মুখের কথাই যে সংলাপ তা নয় বরং মঞ্চে চরিত্র বা উপস্থাপনাকারী যা বলবে তাই সংলাপ। সংলাপ ও বর্ণনার দ্বৈত গড়ন অদ্বৈতরূপে মঞ্চে উপস্থাপিত হয় বলে বর্ণনাত্মক অভিনয় রীতি দ্বৈতাদ্বৈতাবাদী শিল্পতত্বের পরিপোষক নাট্যদর্শন রূপে বিবেচ্য।”
- বিশ্বনাট্য ইতিহাসে বর্ণনাত্মক নাট্য ধারা আধুনিক কালের নাট্য নন্দন্তত্বের একটি পরিভাষা রূপে উদ্ভূত হয়েছে। ইংরাজী ন্যারেটিভ শব্দটির সঙ্গে একে অভিন্ন মনে করা যেতে পারে তবে গভীর পর্যবেক্ষণে এই দুইয়ের পার্থক্য অনুধাবন করা সম্ভব। ইংরাজী ন্যারেটিভ শব্দের অর্থ হল বর্ণনাত্মক, ঘটনার বিবরণ মূলক বা কোন ঘটনার ধারাবাহিক বিবরণ। অন্যদিকে বাংলা বর্ণনাত্মক শব্দটির অর্থ হল এমন একটি শিল্পবস্তুর অভিধা যা একি সঙ্গে শ্রবণ সুখকর শিল্পিত বিবরণ, নাট্যগুণ সম্পন্ন সংলাপ,বিচিত্র মুদ্রার নৃত্য এবং বিভিন্ন রাগ রাগিনীর আশ্রয়ে রচিত সঙ্গীত সম্পন্ন আদি-মধ্য অন্ত্য সমন্বিত একটি শিল্পরূপ।এদিক থেকে বিচার করলে বলা যায় যে বাংলা বর্ণনাত্মক রীতির নাট্যের সঙ্গে ইউরোপীয় ওড এবং ব্যালাডের সমগোত্রীয়।
- নাট্যকার শাঁওলী মিত্র তার পারিবারিক শিক্ষা ও নাট্যচর্চার ফলে এই সমস্যাকে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাঁর আগেই তার বাবা শম্ভুমিত্র চাঁদ বণিকের পালা নাটকে এই ইউরোপীয় নাট্য ধারণা থেকে সরে এসে দেশীও নাট্যধারাকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। বিদেশি শিল্প সাহিত্যের অনুসরণ থেকে সরে এসে দেশীয় চিন্তা চেতন নিয়ে নাট্যসম্ভাবনাকে আবিষ্কার করাই ছিল তখন নাট্যকারের প্রধান বিচার্য বিষয়। এই চেতনার স্বীকৃতি স্বরূপ আমরা নাথবতী অনাথবৎ নাটকটিকে বিচার করতে পারি।
- বাংলা নাটককে তিনি ঔপনিবেশিকতার কবল থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন । বাংলা নাট্যমঞ্চে অনুবাদনির্ভর পশ্চিম অনুকৃত নাট্যচর্চার যে রীতি গড়ে ওঠেছিল সেখানে তিনি প্রতিস্থাপন করেন বাংলা ভাষার মৌলিক নাটককে।প্রসেনিয়াম নাট্য মঞ্চ ধারণার বিপরীতে তিনি লৌকিক জীবনের সংগ্রামময় ইতিহাসকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তার নাটকে। শুধুমাত্র বিষয়গত নতুনত্ব নয়, আঙ্গিকগত নতুনত্ব , তার নাটক এক দেশিয় মঞ্চ ধারণাকে উপস্থাপন করে । তার নাটকের ভাষা বাংলা। বাঙালির আচার আচরণ, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা তার ঐতিহাসিক সংগ্রাম-সিদ্ধি, অর্থনৈতিক অবস্থা, উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থা, পুরান রূপকথা, সংস্কার বিশ্বাস, কৃত্যাদি, প্রথা-উৎসব, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক রীতি, নৈতিকতা, উৎসব-ক্রীড়াদি ইত্যাদি বিষয়কেন্দ্রিক পরিবেশনযোগ্য রচনা বাংলা নাটক এবং একই সঙ্গে তা বাঙালিরও নাটক। এই বিষয় বৈচিত্র্য ও মৌলিকতাই শাঁওলী মিত্রের স্বাতন্ত্র্য।
- তবলাতরঙ্গ বেজে উঠছে। বাজছে মন্দিরা, মৃদঙ্গ। মঞ্চে সার বেঁধে বসা জুড়ির দলের দিকে মুখটি ফিরে একটা কালো কাঠের জলচৌকির ওপরে দুলছে একটা লম্বা বেণী। একটি আলতারাঙা পায়ের নূপুর তাল রাখছে ছন্দে। জুড়ির দল গান ধরেছে, ‘‘কিছু কথা বলতে চায় ওরে মন…।’’
- গানের শেষে কথক ঠাকরুণ পেন্নাম করে বলে উঠলেন ‘‘এক অভাগিনী মেয়ের কথা! রানি, কিন্তু রানি নয়!’’
- ‘নাথবতী অনাথবৎ’- এই বঙ্গের ইতিহাসে পেশাদার রঙ্গালয়ের ইতিহাসে এই নাটক সম্পূর্ণ এক নবদিগন্তের সন্ধান দিয়েছিল যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নাট্য কর্মীদের কাছে পথপ্রদর্শক রূপে চিহ্নিত করা যায়।
- মঞ্চে সার বেঁধে বসা জুড়ির দলের দিকে মুখটি ফিরে একটা কালো কাঠের জলচৌকির ওপরে দুলছে একটা লম্বা বেণী। মঞ্চ সজ্জায় যেমন দেখা যায় প্রসেনিয়াম মঞ্চ ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসার প্রচেষ্টা তেমনি রবীন্দ্রনাথের রঙ্গমঞ্চ প্রবন্ধটিরও গভীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
- তাই তিনি প্রসেনিয়াম নাট্য মঞ্চের ধারণা থেকে সরে এসে নাটকটিকে প্রথমার্ধ ও দ্বিতীয়ার্ধে সাজিয়েছেন। প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছেন যে নাটকটি ‘ কথকতার ভঙ্গিতে ’লেখা হয়েছে। জুড়ির গান দিয়ে আখ্যান বর্ণনা শুরু। ঠিক যেন চাঁদ বণিকের পালার অনুসরণে রচিত এই অংশটি।
- এরপর শুরু হয় কাহিনি বর্ণনার পালা। কখনো দ্রৌপদী কখনো বা দুর্যোধন, যেমন স্বাভাবিক তার কন্ঠস্বর তেমনি দৃপ্ত তার প্রতিবাদ। প্রত্যেকটি অন্যায় ঘটনা বর্ণনার সময় তীক্ষ্ণ প্রতিবাদে ক্ষত বিক্ষত করে তুলেছেন আজন্ম লালিত চিন্তা ভাবনাকে। পুরাণে বর্ণিত যে কাহিনিকে আমরা স্বাভাবিক অভ্যাসে দীর্ঘ কাল ধরে মেনে নিয়েছি , তাকেই প্রশ্ন করেছেন নাট্যকার। যে ভাবনা নিয়ে তার নাটক লেখা সেই তীব্র প্রতিবাদই সোচ্চার হয়েছে তার অভিনয়ের মাধ্যমে।
- গঠন গত ভাবনায় প্রশ্ন করা যায় যে এই বিষয়টিকে উপস্থাপন করার জন্য এই বর্ণনামূলক নাট্যরীতিকে গ্রহণ করার সার্থকতা কোথায়? যেহেতু এই কাহিনি মধ্যযুগের ইতিহাসের অংশ তাই কি এই আঙ্গিক! গভীরভাবে অনুধাবন করলে বোঝা যায় যে শুধুমাত্র এইটুকু বাহ্যিক কারণে এই আঙ্গিককে তিনি বরণ করেন নি। একজন নারী, অর্থাৎ শুধু যদি তিনি দ্রোপদীর ভাষ্যে সমগ্র কাহিনিটি বর্ণনা করতেন তাহলে এটিকে এক নারীর প্রতিবাদ হিসাবে চিহ্নিত করা হত।
- সমগ্র পুরুষতান্ত্রিক সমাজের যে অন্যায় অত্যাচারের কাহিনি এখানে তিনি বর্ণনা করেছেন তা কোন একটি চরিত্রের দৃষ্টিতে সীমাবদ্ধ রাখলে এই নাট্যের সম্ভাবনা সমূলে নষ্ট হত। তাই নাট্যকার কোন একক চরিত্রকে বেছে নেন নি, একজন কথকের ভাষ্যে সমগ্র নাট্যটিকে উপস্থাপন করেছেন।
- এরপর কথক দ্রৌপদীর ভাষ্যে সমগ্র মহাভারতের নবরূপায়ণ ঘটালেন। পঞ্চ পান্ডবের দুর্ভোগ ও দ্রোপদীর জীবন যন্ত্রণার কেন্দ্রে যে যুধিষ্ঠির ,যাকে সমগ্র মানব কূলের কাছে মহাপন্ডিত ও প্রাজ্ঞ হিসাবে ভূষিত করা হয় যুগ যুগ ধরে,একথা কথক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন। চিরাচরিত মহাভারতের কাহিনি ব্যাখ্যা নয়, মহাভারতের নতুন পাঠ তুলে ধরাই এই নাট্যের মুখ্য উদ্দেশ্য।
- তাই প্রথাগত মঞ্চ ধারণা নয়,এই নতুন পাঠকে ধারণ করার জন্য প্রয়োজন দেশীয় মঞ্চ ধারণার কাছে ফিরে যাওয়া। তাই প্রসেনিয়াম মঞ্চ,চরিত্রের মুখে সংলাপ,দৃশ্যের আতিশয্যকে ত্যাগ করে নাট্যকার গঠন করলেন বর্ণনাধর্মী পালাগানের আসর। এখানে সামনে উপস্থিত দর্শকদের কথক শ্রোতা রূপে সম্বোধন করছেন এবং নিজস্ব পাঠকে দর্শকের মননের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছেন।
- দর্শকের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে চাইছেন সেই সব আদি প্রশ্ন যা প্রাত্যহিকতার অভ্যাসে চাপা পরে গেছে। সমাজ পরিবর্তন তো শুধু মাত্র যুদ্ধ করে হয় না,মানুষ যখন নিজের চারপাশকে আরও ভালোভাবে তলিয়ে বুঝতে পারবে,প্রশ্ন করবে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে তাদের চেতনা তখনি প্রকৃত রূপে মানব সভ্যতা অন্ধকারের থেকে আলোর পথের দিশা খুঁজে পাবে। এই কাজে নাট্যকার শাঁওলী মিত্র যে সম্পুর্ণ রূপে সফল তা এই নাটকটির সাফল্য ও দর্শকমহলে জনপ্রিয়তা থেকেই সুস্পষ্ট।